শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাই এলাকায় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ বছরের শিশু ধর্ষন মামলার এজাহাভুক্ত দুই পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ঢাকা গাজীপুর ও ধামরাই এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রতন সাহা (৫০) ও মো. নুরুল ইসলাম ওরফে ঠাণ্ডু (৫০)।
র্যাব জানায়, ধামরাই থানাধীন নান্নার মধ্যপাড়া এলাকায় গত ১৪ অক্টোবর বিকালে গ্রেপ্তার রতন সাহা চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ বছরের এক শিশুকে পাট ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী শিশুর মা স্থানীয় মহিলা মেম্বার রওশন আরা ও মেম্বার নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডুর কাছে জানান। তারা ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে। এতে ভুক্তভোগীর পরিবার রাজি না হলে মেম্বার নুরুল ইসলাম শিশুর মাকে জানান, বিষয়টি কাউকে জানালে কিংবা থানায় কোন অভিযোগ করলে তাদের এলাকা ছাড়া করবে ও জুতাপেটা করা হবে।
এছাড়াও মেম্বর নুরুল ইসলাম ভুক্তভোগীর পরিবারকে শিশুর চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে সাক্ষর রাখে। পরে শিশুটির মা গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
র্যাব-৪ এর উপ-পরিচালক পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী বলেন, ধামরাইয়ে ৯ বছর শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগীর মা মামলার করার পর থেকে র্যাব-৪ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে ধামরাই থানা এলাকা থেকে এজহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি নুরুল ইসলাম ওরফে ঠাণ্ডুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক এলাকা ১ নম্বর আসামি রতন সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জয়িতা শিল্পী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রতন স্বীকার করেছে, ভুক্তভোগী শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে পাট ক্ষেতের ভিতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এবং স্থানীয় মেম্বার ঘটনাটি ধামাপাচা দিতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি চাপ প্রয়োগের কথাও স্বীকার করেছে।